হাড়বাড়িয়া ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্র

যারা একদিনের জন্য সুন্দরবন ভ্রমণে যেতে চান তাদের জন্য হাড়বাড়িয়া আদর্শ জায়গা। হাড়বাড়িয়া ইকো পর্যটন কেন্দ্র-টি বাঘের অভয়ারণ্য। হাড়বাড়িয়ার বাঘের দেখা না পেলেও বাঘের পায়ের ছাপ অনেকে দেখতে পায়। এছাড়াও চিত্রা হরিণ ও অন্যান্য বন্য প্রাণীও দেখা মিলবে এখানে। এখানে প্রায়ই লোনা পানির কুমির দেখা যায়। তবে কুমির দেখার জন্য ভালো সময় ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি। এই সময়ে রোদ পোহাতে কুমিরগুলো খালের চরে শুয়ে থাকে। এছাড়াও হাড়বাড়িয়ায় সুন্দরনের মায়া হরিণেরও দেখা মেলে। পর্যটকদের জন্য এটা উন্মুক্ত হওয়ায় খুব কাছে থেকে হরিণের দেখা মেলে। এখানকার হরিণগুলো একেবারেই বন্য নয়। অনবরত মানুষের সঙ্গ পায় বলে বনের ধারে একাধিক হরিণের দেখা মেলে। হাড়বাড়িয়ার বাঘের দেখা না পেলেও বাঘের পায়ের ছাপ অনেকে দেখতে পায়। এছাড়াও চিত্রা হরিণ ও অন্যান্য বন্য প্রাণীও দেখা মিলবে এখানে।

জোয়ার-ভাটা অঞ্চল হওয়ার জন্য এখানে মাটি স্যাঁতস্যাঁতে, কর্দমাক্ত, ভেজা থাকে। এজন্য খুব কাছে থেকে লাল কাঁকড়া দেখা যায়। এছাড়াও সুন্দরী, গেওয়া, গড়ান, পশুর, বাইন, গোলপাতা ইত্যাদি গাছ আছে। নানা প্রজাতির পাখি, পোকা মাকড় আছে।

হাড়বাড়িয়ায় সুন্দরনের বিরল মায়া হরিণেরও দেখা মেলে। এখানকার ছোট ছোট খালগুলোতে আছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছরাঙাসহ নানান জাতের পাখি। হাড়বাড়িয়ার খালে পৃথিবীর বিপন্ন মাস্ক ফিনফুট বা কালোমুখ প্যারা পাখিও দেখা যায়। হাড়বাড়িয়া খালের পাড়ে ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্রের সোনালি নামফলক। একটু সামনে এগুলেই বন কার্যালয়। এরপরে ছোট খালের উপরে ঝুলন্ত সেতু। সামনের দিকে জঙ্গলের গভীরতা ক্রমশ বেড়েছে। ঝুলন্ত সেতু পেরিয়ে সামান্য সামনে বিশাল এক পুকুর। পুকুরের মাঝে গোলপাতার ছাউনি সমেত একটি বিশ্রামাগার।

← New Article
মেঘালয় -(Meghalaya)

মেঘালয় -(Meghalaya)

Old Article →
একা ভ্রমণে যেসব বিষয় খেয়াল রাখা খুবই প্রয়োজন

একা ভ্রমণে যেসব বিষয় খেয়াল রাখা খুবই প্রয়োজন