টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ- (Tanguar Haor Tour)
সুনামগঞ্জ জেলার প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত টাঙ্গুয়ার হাওর।একটি বিশাল অববাহিকা আকৃতির অগভীর জলাভূমিকে হাওর বলা হয়। হাওরগুলো প্রতিবছর বৃষ্টির জলে প্লাবিত হয় এবং তরঙ্গবিহীন সমুদ্রের আকার নেয়। প্রায় ৩০টি ঝর্ণা এসে সরাসরি মিশেছে ভারতের মেঘালয়ের পাদদেশে অবস্থিত এই টাঙ্গুয়ার হাওরে। নয়কুড়ি কান্দার ছয়কুড়ি বিল, নামে পরিচিত এই টাঙ্গুয়ার হাওর।
আকর্ষনীয় পর্যটনকেন্দ্র
বর্ষাকালে টাঙ্গুয়ার হাওর ঘুরার উপযুক্ত সময়। টাঙ্গুয়ার হাওর পরিযায়ী পাখির জন্যও বিখ্যাত। টাঙ্গুয়ার হাওরের পুরোটা জুড়ে রয়েছে বৈচিত্র্যতা। তবু আলাদা করে যেসব আকর্ষনীয় পর্যটনকেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখতে পারেন-
❑ হিজল করচ,
❑ ওয়াচ টাওয়ার,
❑ টেকের ঘাট,
❑ বারিক টিল,
২ দিন ১ রাতের ট্যুর প্ল্যান
টাঙ্গুয়ার হাওরে যেতে হলে প্রথমে সুনামগঞ্জ যেতে হবে। প্রতিদিন মামুন ও শ্যামলী বাস সায়েদাবাদ (ঢাকা) বাসস্ট্যান্ড থেকে সরাসরি সুনামগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
টাঙ্গুয়ার হাওরে থাকার উপায় নেই। তবে আপনি নৌকায় থাকতে পারেন। তাই নৌকায় রান্না বা খাওয়ার জন্য স্থানীয় বাজার থেকে আপনার দৈনিক বাজার কিনে নিন। নৌকায় রাত কাটাতে চাইলে বাজারের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করুন। টাঙ্গুয়ার হাওড়ে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বা প্রিমিয়াম হাউস বোট ভাড়া নিতে পারেন।
টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণে আধুনিক সব সুবিধা সম্পন্ন আছে ৩ টি প্রিমিয়াম হাইজ বোটঃ ❑ হাওরের সুলতান; ❑ মনপুরা; ❑ গল্প তরী। এছাড়াও আছে কিছু ভালো মানের Traditional বোট।
প্রিমিয়াম হাইজ বোটে আধুনিক সব সুবিধা রয়েছে। যেমনঃ অবসর সময়ে সবাইকে নিয়ে আড্ডা ও বিনোদনের জন্য দুটি লবি, রুম এবং লবির সবখানে লাইট, ফ্যান এবং চার্জিং সুবিধা, জেনারেটর সুবিধা ইত্যাদি।
টাঙ্গুয়ার হাওরে প্রিমিয়াম হাউস বোটের সকল আধুনিক সব সুবিধা দেখুন। আপনাদের ভ্রমন আরও সহজ ও সুন্দর করতে টাঙ্গুয়ার হাওর ট্যুর প্যাকেজ নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন আপনারা।
প্যাকেজে এর মধ্যে থাকছে
❑ ২ দিনের রিজার্ভ প্রিমিয়াম হাউজ বোট,
❑ ২ দিনের ৫ বেলা মেইন ফুড ও ৪ বেলা স্ন্যাক্স,
❑ প্রশস্ত কেবিন, প্রতি কেবিনে লাইট, ফ্যান, লকার সিস্টেম এবং চার্জিং পয়েন্ট,
❑ পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট
❑ দক্ষ বাবুর্চির সহায়তায় হাওরের ফ্রেশ খাবার
❑ চা/ম্যাক্স/পানি, রুম সার্ভিস,
❑ হাই-কমড এবং লো-কমড ওয়াশরুম,
❑ অভিজ্ঞ গাইড
প্যাকেজে যা যা থাকছে না
❑ ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ আসা-যাওয়ার পথে বাসের যাত্রা বিরতিতে খাবার ।
❑ যেকোনো ব্যক্তিগত খরচ।
❑ ঔষধ।
চাইল্ড পলিসি
❑ আলোচনা সাপেক্ষে……
টাঙ্গুয়া হাওর ভ্রমণের সতর্কতা ও কিছু পরামর্শ
❑ হাওর ভ্রমণকালে অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট সঙ্গে নিন।
❑ হাওরে রওনা হবার আগে তাহিরপুরে থানায় আপনার নিরাপত্তার জন্যে জিডি করে নিন।
❑ যে কোন কিছুর জন্যে দামাদামি করে নিবেন।
❑ একসাথে গ্রুপ করে গেলে খরচ কম হবে। ৪-৫ জন বা ৮-১০ জনের গ্রুপ হলে ভালো।
❑ হাওরে বজ্রপাত হলে নৌকার ছৈয়ের নিচে অবস্থান করুন।
❑ খাবারের অতিরিক্ত অংশ/উচ্ছিষ্ট, প্যাকেট ইত্যাদি হাওরের পানিতে ফেলা থেকে বিরত থাকুন।
❑ উচ্চ শব্দ সৃষ্টিকারী মাইক বা যন্ত্র পরিহার করুন।
❑ রাতের বেলা অতিরিক্ত উজ্জ্বল আলো উৎপন্ন করবেন না।
❑ টাঙ্গুয়ার মাছ, বন্যপ্রাণী কিংবা পাখি ধরা বা এদের জীবন হুমকির মধ্যে পড়ে এমন কাজ থেকে বিরিত থাকুন।
❑ টাঙ্গুয়ার জলাবনের কোন রূপ ক্ষতিসাধন না করার ব্যপারে সতর্ক থাকুন।